পাহাড়িকা এক্সপ্রেস মূলত চট্টগ্রাম থেকে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের আন্তঃনগর ট্রেন হিসেবে যাত্রী পরিষেবা দিয়ে চলে আসছে। এই ট্রেনটি বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি অন্যতম ট্রেন। বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সুবিধার জন্য চট্টগ্রাম থেকে সিলেটের এই ট্রেনটি ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে চলে আসছে।
তাই চট্টগ্রাম মানুষ সিলেট ভ্রমন করতে চাইলে এই ট্রেনটিতে ভ্রমণ করে থাকেন। এছাড়াও আমরা জানি অন্যান্য যানবাহন এর তুলনায় ট্রেন ভ্রমণ একটি আরামদায়ক ও নিরাপদ ভ্রমণ। তাই অনেকেই ট্রেন ভ্রমণ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আধুনিক এবং আরামদায়ক একটি ট্রেন। যাত্রীদের জন্য অনেক রকম সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে এই ট্রেনটিতে। এই ট্রেনটি নাম্বার হলো (৭১৯-৭২০) এই দুটি নাম্বারে ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে সিলেট এবং সিলেট থেকে চট্টগ্রাম চলাচল করে থাকে।
আপনি যদি পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটির সময়সূচী টিকিটের মূল্য ট্রেনটি ছুটির দিন এবং পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন যাত্রার পথে যেসব স্টেশনে বিরতি নিয়ে থাকে সে সকল স্টেশন এর সঠিক সময়সূচী আমাদের ওয়েবসাইটের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই জেনে নিতে পারবেন। তাই আপনাকে অবশ্যই আমাদের নিবন্ধিত পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত চোখ রাখতে হবে।
পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
আপনাদের ভ্রমণের সুবিধার্থে আমরা আপনাদের জানিয়ে রাখি পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন সোমবার ও শনিবার হিসেবে গণ্য করা হয় অর্থাৎ এই দুইদিন ট্রেনটি চলাচল করে থাকে না। দয়াকরে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটির সঠিক ছাড়ার সময় এবং পৌঁছানোর সময় এটি আমাদের নিচের টেবিল এর মাধ্যমে জেনে নিন।
স্টেশন | ছুটির দিন | ছাড়ায় সময় | পৌছানোর সময় |
চট্রগ্রাম টু সিলেট | সোমবার | ০৯ঃ০০ | ১৭ঃ৫০ |
সিলেট টু চট্রগ্রাম | শনিবার | ১০ঃ১৫ | ১৯ঃ৩৫ |
পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি স্টেশন ও সময়সূচী
চট্টগ্রাম থেকে সিলেট রেলপথ সাধারণত 377 কিলোমিটার। এই দীর্ঘ রেলপথে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি মোট 14 টি স্টেশনে বিরতি নিয়ে থাকে। অর্থাৎ এই 14 টি স্টেশন থেকে মানুষ পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভ্রমণ করতে সুযোগ পেয়ে থাকেন। নিচে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি যেসব স্টেশনে বিরতি নিয়ে থাকে সে সকল স্টেশনের সময়সূচি নিচে দেওয়া হল।
বিরতি স্টেশন নাম | ছাড়ায় সময় | পৌছানোর সময় |
ফেনী | ১০ঃ৩১ | ১৭ঃ৫০ |
নাঙ্গলকোট | ১১ঃ০৪ | ১৭ঃ২১ |
লাকসাম | ১১ঃ২৫ | ১৭ঃ০০ |
কুমিল্লা | ১২ঃ০৫ | ১৬ঃ৩২ |
কসবা | ১২ঃ৪৭ | ১৫ঃ৪২ |
আখাউড়া | ১৩ঃ২০ | ১৫ঃ১০ |
হরষপুর | ১৩ঃ৫৫ | ১৪ঃ১৯ |
নওয়াপাড়া | ১৪ঃ১৯ | ১৩ঃ৪০ |
শায়েস্তাগঞ্জ | ১৪ঃ৪৫ | ১৩ঃ১২ |
শ্রীমঙ্গল | ১৫ঃ২৬ | ১২ঃ২৯ |
ভানুগাছ | ১৫ঃ৪৯ | ১২ঃ০২ |
শমসের নগর | ১৬ঃ০০ | ১১ঃ৫৫ |
কুলাউড়া | ১৬ঃ২৬ | ১১ঃ২৪ |
মাইজগাঁও | ১৭ঃ০৮ | ১০ঃ৫৩ |
পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া তালিকা
পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি অন্যান্য ট্রেনের চেয়ে টিকিটের দাম তুলনামূলক কম। আপনারা অনেকেই এই ট্রেনটি টিকিটের মূল্য জানতে চান। এ ট্রেনটিতে মোট চারটি আসন বিন্যাস এর টিকিটের মূল্য নির্ধারিত করা হয়। আমরা টেবিলের মাধ্যমে নিচে পর্যায়ক্রমে এই চারটি আসনে টিকিটের মূল্য আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।
আসন বিভাগ | টিকেটের মূল্য (১৫% ভ্যাট) |
শোভন চেয়ার | ৫০৫ টাকা |
স্নিগ্ধা | ৯৬৬ টাকা |
এসি সিট | ১১৫৬ টাকা |
এসি বার্থ | ১৭৮১ টাকা |
আশাকরি পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি তে আপনারা অবশ্যই নিরাপদ ভ্রমণ করতে পারবেন। এছাড়াও ট্রেনটিতে ভ্রমণ করার সকল তথ্য আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে উপরে সংযুক্ত করেছি। এই তথ্যগুলো আপনারা জেনে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্বাচ্ছন্দে ভ্রমণ করতে পারবেন। আপনার যদি অন্য কোন ট্রেন এর সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক হন। তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের নিচে একটি কমেন্ট বক্সে দেওয়া আছে এই কমেন্ট বক্সে আপনারা আপনাদের মতামত দিতে পারেন ধন্যবাদ।