আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। পবিত্র মাহে রমজান এক মাস রোজা রাখার পর মুসলমানদের সর্বোচ্চ এবং একটি ধর্মীয় উৎসব হল ঈদুল ফিতর। মহান আল্লাহতালার শুকরিয়া অর্জনের জন্য মুসলিমগণ দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর পবিত্র ঈদুল ফিতর আদায় করেন। এটি আদায় করা ওয়াজিব। প্রতি এক বছর পর ইসলাম বিধানে অনুযায়ী রমজান মাসে রোজা পালন করা হয়।
অনেকেই আছেন যারা ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ঈদ নিয়ে কবিতা ঈদ মোবারক উক্তি স্ট্যাটাস দিয়ে থাকেন। তাই আমরা আপনাদের জন্য ঈদ মোবারক কবিতা কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির কবিতা গুলো আমরা নিচে সংযুক্ত করছি আপনারা চাইলে এগুলো দেখে নিতে পারবেন।
ঈদ নিয়ে কবিতা
আমরা চেষ্টা করেছি ঈদ মোবারক নিয়ে যত গুরুত্বপূর্ণ কবিতাগুলো আছে। সেগুলো আমাদের ওয়েবসাইটের সংযুক্ত করার জন্য। আশা করছি আমাদের এই কবিতাগুলো আপনাদের ভালো লাগবে এবং কবিতাগুলো আপনারা চর্চা করবেন।
ঈদ মোবারক
– কাজী নজরুল ইসলাম
শত যোজনের কত মরুভূমি পারায়ে গো, কত বালুচরে কত আঁখি-ধারা ঝরায়ে গো, বরষের পরে আসিলে ঈদ! ভুখারীর দ্বারে সওগাত ব'ইয়ে রিজওয়ানের, কন্টক-বনে আশ্বাস এনে গুল- বাগের, সাকীরে "জা'মের দিলে তাগিদ! খুশীর পাপিয়া পিউ পিউ গাহে দিগ্বিদিক বধূ জাগে আজ নিশীথ-বাসরে নির্নিমিখ! কোথা ফুলদানী, কাঁদিছে ফুল, সুদূর প্রবাসে ঘুম নাহি আসে কার সখার, মনে পড়ে শুধু সোঁদা-সোঁদা বাস এলো খোঁপার, আকুল কবরী উলঝলুল! ওগো কাল সাঁঝে দ্বিতীয়া চাঁদের ইশারা কোন মুজদা এনেছে, সুখে ডগমগ মুকুলী মন! আশাবরী- সুরে ঝুরে সানাই। আতর-সুবাসে কাতর হ'ল গো পাথর-দিল, দিলে দিলে আজ বন্ধকী দেনা-নাই দলিল, কবুলিয়তের নাই বালাই।। আজিকে এজিদে হাসেনে হোসেনে গলাগলি, দোযখে বেহেশতে সুল ও আগুনে ঢলাঢলি, শিরী ফরহাদে জড়াহড়ি! সাপিনীর মত বেঁধেছে লায়লী কায়েসে গো, বাহুর বন্ধে চোখ বুঁজে বঁধু আয়েসে গো, গালে গালে চুমু গরাগড়ি।। দাউ- দাউ জ্বলে আজি স্ফূর্তির জাহান্নাম, শয়তান আজ বেহেশতে বিলায় শরাব-জাম, দুশম্ন দস্ত এক-জামাত! আজি আরফাত-ময়দান পাতা গাঁয়ে- গাঁয়ে, কোলাকুলি করে বাদশা ফকীরে ভায়ে-ভায়ে, কা'বা ধ'রে নাচে 'লাত-মানাত'।। আজি ইসলামী ডঙ্কা গরজে ভরি' জাহান, নাই বড় ছোট-সকল মানুষ এক সমান, রাজা প্রজা নয় কারো কেহ। কে আমীর তুমি নওয়াব বাদশা বালাখানায়? সকল কালের কলঙ্ক তুমি; জাগালে হায় ইসলামে তুমি সন্দেহ।। ইসলাম বলে, সকলের তরে মোরা সবাই, সুখ-দুখ সম-ভাগ করে নেব সকলে ভাই, নাই অধিকার সঞ্চয়ের! কারো আঁখি-জলে কারো ঝাড়ে কি রে জ্বলিবে দীপ? দু'জনার হবে বুলন্দ-নসীব, লাখে লাঝে হবে বদ-নসীব? এ নহে বিধান ইসলামের।। ঈদ-অল-ফিতর আনিয়াছে তাই নববিধান, ওগো সঞ্চয়ী, উদ্বৃত্ত যা করিবে দান, ক্ষুধার অন্ন হোক তোমার! ভোগের পেয়ালা উপচায়ে পড়ে তব হাতে, তৃষ্ণাতুরের হিসসা আছে ও-পেয়ালাতে, দিয়া ভোগ কর, বীর দেদার।। বুক খালি ক'রে আপনারে আজ দাও জাকাত, করো না হিসাবী, আজি হিসাবের অঙ্কপাত! একদিন করো ভুল হিসাব। দিলে দিলে আজ খুন্সুড়ি করে দিললগী, আজিকে ছায়েলা-লায়েলা-চুমায় লাল যোগী! জামশেদ বেঁচে চায় শরাব।। পথে পথে আজ হাঁকিব, বন্ধু, ঈদ মোবারক! আসসালাম! ঠোঁটে ঠোঁটে আজ বিলাব শিরনী ফুল-কালাম! বিলিয়ে দেওয়ার আজিকে ঈদ! আমার দানের অনুরাগে-রাঙা 'ঈদগা'রে! সকলের হাতে দিয়ে দিয়ে আজ আপনারে- দেহ নয়, দিল হবে শহীদ।।
ঈদের খুশি
শুভ জিত দত্ত
ওই উঠেছে আকাশে চাঁদ কালকে খুশির ঈদ। একটি মাস রোজা শেষে আসে খুশির ঈদ, নামাজ শেষে কোলাকুলি বড় ছোট নির্বিশেষে। নানা রকম আয়োজনে মেতে থাকি সবাই মিলে। দুঃখ সুখের ভাগাভাগি করব সবাই মিলে। নতুন জামা নতুন জুতা পড়বো মজা করে। ঘোড়াঘুড়ি খাওয়া দাওয়া নাইকো মজার শেষ। লাচ্ছা সেমাই ফিরনি মিটাই, নানা রকম আয়োজনে ঈদ জমে ওঠে। ভেদাভেদ ভুলে সবাই আনন্দে মেতে ওঠি, সরিয়ে যত দুঃখ গুলো
ঈদের আনন্দ
মোঃ মজিবুর রহমান
ঈদ এলো নতুন করে বছর গুড়িয়ে, হাসিখুশি থাকবো মোরা সবাইকে নিয়ে। মুখে মুখে মাতামাতি হয়না তবু বন্ধ, বন্ধু আর বান্ধব মিলে থাকবে আনন্দ। পোলাও খাব, কুরমা খাব খাব কত কি, ঈদ গাহে যাব মোরা কি করে ভূলি। নতুন কাপর গায়ে দিয়ে সালাম দিবে সবে, ছোট ছেলে নামায পড়বে বলে- আমায় সাথে নেবে। নামায শেষে কুলাকুলি কত মানুষ চেনা, ঈদের আনন্দ কত বেশি হয়না বেচা-কেনা। গুরুস্থানে যাব মোরা একসাথে হায়, সবার চোখের কান্না দেখে বুক ভেসে যায়। আশা কত বুকে আছে গরুর মাংশ খাব, পরিবারের ভালোবাসায় সবার মন রাঙ্গাবো।
পরিশেষে বলা যায় আমাদের ওয়েবসাইটটি সব সময় চেষ্টা করে আপনাদের নতুনত্ব এবং চলমান ঘটনাগুলো জানার চেষ্টা করে। তাই কোন কিছু জানার থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন ধন্যবাদ।