বয়স্ক ভাতা এবং বিধবা ভাতার আবেদন ফরম 2023-সমাজসেবা অধিদপ্তর

আপনি কি বয়স্ক ভাতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম এখানে থেকে আপনারা জানতে পারবেন বয়স্ক ভাতা কাদেরকে দেওয়া হয় এবং কত বছরের ঊর্ধ্বে দেওয়া হয়। বয়স্ক ভাতা ফরম পিডিএফ সহ ডাউনলোড করতে পারবেন। এছাড়া জানতে পারেন বয়স্ক ভাতার বিধবা ভাতার টাকার পরিমাণ সম্পর্কে।

সম্প্রতি সময়ে বয়স্ক ভাতার সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে অনলাইনে আবেদন করা যায় এক্ষেত্রে এর দিক নির্দেশনা গুলো আমাদের ওয়েবসাইটে আমরা তুলে ধরব। তাই আমাদের ওয়েবসাইটে আজকে আর্টিকেলটি আপনার জন্য গুরুত্ব হবে। আবেদনের ফরম আমরা নিচের একটি লিংক দিয়ে দেবো এখানে আপনার ঢুকলেই দেখতে পারবেন আবেদনের ফরম টি।

বয়স্ক ভাতার আবেদন ফরম ডাউনলোড

সমাজসেবা অধিদপ্তর দুর্নীতি কমাতে সরাসরি বর্তমানে তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে বয়স্ক ভাতার অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করার মাধ্যমে নতুন কার্যক্রম শুরু করেছে। তাই আপনারা যদি না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের নিচের লিংয়ের পিডিএফ সহ আবেদন ফরম টি ডাউনলোড করতে পারেন।

বয়স্ক এবং বিধবা ভাতার টাকার পরিমান 

বাংলাদেশ অতি দরিদ্র বয়স্ক বিধবা বর্তমানে প্রতি মাসে 500 টাকা 1 বছর করে ভাতা দেয়া হয়। অর্থাৎ আপনাকে প্রতিমাসে 500 টাকা করে দেয়া হবে।

অনলাইনে বয়স্ক ভাতার আবেদন

অনলাইনে বয়স্ক ভাতার আবেদন করতে চাইলে আপনাকে আমাদের উপরে যে ফরমটি দেয়া আছে সেখানে ক্লিক করতে হবে। এরপর ফরমটি চলে আসলে সম্পূর্ণ নির্ভুল ভাবে ফরমটি পূর্ণ করতে হবে। প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ফরমটিতে সাহায্য করুন। এবং আপনার অনলাইনে বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করুন।

 বয়স্ক ভাতা অনলাইন আবেদন

বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের সকল জেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায়েও অতিদরিদ্র বিধবা এবং বয়স্কদের মাসিক ভাতা দেওয়া হয়। মূলত আমরা দেখতে পারি উন্নত রাষ্ট্রে নাগরিকদের সরকার থেকে ভাতা প্রদান করা হয়। এজন্য বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রের রোল মডেল অনুসরণ করেই, বাংলাদেশের মানুষের কাছে যারা বয়স্ক হয়ে গেছেন তাদের একটি মাসিক ভাতা প্রযোজ্য প্রণোদনা দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে দুর্নীতি নিধন করার জন্য আধুনিক প্রযুক্তিতে অনলাইনে বয়স্ক ভাতার আবেদন করা যায়।

বয়স্ক ভাতার আবেদন যাচাই

বয়স্ক ভাতার আবেদন অনলাইনে যাচাই করার পর আপনাকে অবশ্যই যে ফরমটি পূর্ণ করবেন সে ফরমটি নিশ্চিত করতে হবে যে সোমের যে তথ্যগুলো ঠিক আছে কিনা। এটি মূলত সমাজসেবা অধিদপ্তর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে কি আবেদন করতে হবে।

বয়স্ক ভাতা আবেদন 2023

বয়স্ক ভাতা আবেদন 2022 এ লিংকে ক্লিক করলে আপনার আবেদন করতে পারবেন। এর জন্যে আমরা নিচে ওয়েব সাইটের লিংকটি বসিয়ে দিচ্ছি সেখানে ক্লিক করুন।

বিধবা ভাতা আবেদন ফরম 2023 অনলাইন

বিধবা ভাতা সাধারণত যেসব মহিলাদের অতিদরিদ্র এবং তাদের স্বামী নেই তাদেরকে প্রতি মাসিক একটি ভাতা প্রদান করা হয় সেটি মূলত বিধবা ভাতা হিসেবে বলা হয়। ইবাদতে নারীরা পেয়ে থাকেন। নারীরা চাইলে মোবাইল ব্যাংকিং এবং তাফসিল ব্যাংকিং হতে টাকা উত্তোলন করতে পারবে। এজন্য আপনাকে আবেদন করার সময় ফরমটিতে ভালো হবে আবেদন করতে হবে।

প্রার্থী নির্বাচনের মানদন্ড

(ক) নাগরিকত্ব: প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।

(খ) বয়স: সর্বোচ্চ বয়স্ক ব্যক্তিকে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে।

(গ) স্বাস্থ্যগত অবস্থা: যিনি শারীরিকভাবে অক্ষম অর্থাৎ সম্পূর্ণরূপে কর্মক্ষমতাহীন তাঁকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।

(ঘ) আর্থ-সামাজিক অবস্থা:

(১)  আর্থিক অবস্থার ক্ষেত্রে: নিঃস্ব, উদ্বাস্ত্ত ও ভূমিহীনকে ক্রমানুসারে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

(২) সামাজিক অবস্থার ক্ষেত্রে: বিধবা, তালাকপ্রাপ্তা, বিপত্নীক, নিঃসন্তান, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিদেরকে ক্রমানুসারে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

(ঙ) ভূমির মালিকানা: ভূমিহীন ব্যক্তিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এক্ষেত্রে বসতবাড়ী ব্যতীত কোনো ব্যক্তির জমির পরিমাণ ০.৫ একর বা তার কম হলে তিনি ভূমিহীন বলে গণ্য হবেন।

ভাতা প্রাপ্তির যোগ্যতা ও শর্তাবলী

  •  সংশ্লিষ্ট এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে;
  • জন্ম নিবন্ধন/জাতীয় পরিচিতি নম্বর থাকতে হবে;
  • বয়স পুরুষের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৬৫ বছর এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৬২ বছর  হতে হবে।
  • সরকার কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত বয়স বিবেচনায় নিতে হবে;
  • প্রার্থীর বার্ষিক গড় আয় অনূর্ধ ১০,০০০ (দশ হাজার) টাকা হতে হবে;
  •  বাছাই কমিটি কর্তৃক নির্বাচিত হতে হবে।

বিঃ দ্রঃ বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন সনদ, এসএসসি/সমমান পরীক্ষার সনদপত্র বিবেচনা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোন বিতর্ক দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট কমিটির সিদ্ধান্ত     চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।

ভাতা প্রাপ্তির অযোগ্যতা

  • সরকারি কর্মচারী পেনশনভোগী হলে;
  • দুঃস্থ মহিলা হিসেবে ভিজিডি কার্ডধারী হলে;
  • অন্য কোনোভাবে নিয়মিত সরকারী অনুদান/ভাতা প্রাপ্ত হলে;
  • কোনো বেসরকারি সংস্থা/সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান হতে নিয়মিতভাবে আর্থিক অনুদান/ভাতা প্রাপ্ত হলে ।

বয়স্ক ভাতার আবেদন কিভাবে করতে হয়

গ্রামের হতদরিদ্র মানুষেরা বয়স্ক ভাতার আবেদন সম্পর্কে সচেতন না। বয়স্ক ভাতার আবেদন অনলাইন কেন্দ্রিক হতে তাদের জন্য আবেদন করা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।তবে তারা চাইলে তাদের আশেপাশের কারো সহযোগিতা নিয়ে আবেদন করতে পারবে।অনলাইনে আবেদন করার সময় সতর্কতার সাথে ফরম পূরণের প্রতিটি ধাপ সম্পন্ন করতে হবে।তারপর ফ্রেন্ড বাটন এ ক্লিক করার আগে ভালো করে যাচাই করে নিন। অসতর্কতার জন্য কোন ফুল অথবা অসম্পূর্ণ আবেদন গ্রহণ করা হবে না। নিচে বয়স্ক ভাতার আবেদন এর লিংক আমি দিলাম।

ভাস্কর ভাতার আবেদন ফরম সম্পর্কিত তথ্যগুলো হল

  • আবেদন ফরমের লাল তারকা চিহ্নিত ঘর গুলো অবশ্যই পুরন করতে হবে অন্যান্য ঘরগুলো পূরণ না করলেও চলবে।
  • আবেদনের সময় যদি প্রেমেন্ট বা অর্থ পরিশোধের বিষয় থাকে তাহলে মোবাইল ব্যাংকিং পালনের মাধ্যমে তা পরিশোধ করতে হবে।
  • আবেদন ফরমের ছবি উপসাগর আপলোড করতে হবে যেসব কাগজপত্র আবেদনের সাথে দাখিল করা প্রয়োজন সেগুলো সংযুক্ত অপশনে ক্লিক করে আপলোড করতে হবে।
  • অফিস বাছাই করুন অবসান হতে আবেদনটিতে অফিসে পাঠাতে চান সেই অফিস নির্বাচন করতে হবে।
  • এরপর ট্রেন বাটনে ক্লিক করতে হবে।আপনারা দুজনকে সফলভাবে ট্রেন হইছে এই মর্মে একটি বার্তা আসবে।
  • আবেদন করেন এরপর আপনি একটি প্রাপ্তিস্বীকার মূলক এসএমএস পাবেন।
  • এটি সংরক্ষণ করে রাখতে হবে পরবর্তীতে আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা বাটনে ক্লিক করে এই নাম্বারটা দিয়ে সর্বশেষ অগ্রগতি জানা যাবে।
  • আপনি আবেদন গ্রহণ না করা পর্যন্ত আপনার সিস্টেম টাকা হিসেবে সংরক্ষণ করা থাকবে এটা পরবর্তীতে আপনি প্রেম করতে পারবেন।

বয়স্ক ভাতার আবেদন ফরম এ কি কি দিতে হয়

বয়স্ক ভাতার আবেদন ফরমের প্রার্থীকে অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে তথ্য দিতে হবে যেগুলো তথ্য দিতে হবে তা নিচে দেওয়া হল:

  • আবেদন ফরমের শুরুতে আবেদনকারীর বয়স উল্লেখ করতে হবে।
  • আবেদনকারীর সঠিক বয়স না দিলে পরবর্তীতে আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে।
  • গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত বয়স্ক ভাতার হার উল্লেখ করে আবেদন করতে হবে।
  • আবেদনকারী সঠিক নাম উল্লেখ করতে হবে।
  • আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর ও মোবাইল নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
  • আবেদনকারীর মাতার নাম পিতার নাম উল্লেখ করতে হবে।
  • আবেদনকারীর স্থায়ী ঠিকানা বর্তমান ঠিকানা উল্লেখ করতে।
  • আবেদনকারীর জন্ম তারিখ ও বার সঠিক গোড়ায় দিতে হবে।
  • আবেদনকারীর আর্থসামাজিক অবস্থা ও স্বাস্থ্যগত অবস্থা উল্লেখ করতে হবে।
  • নমিনির নাম উল্লেখ করতে হবে।
  • সর্বশেষ আবেদনকারীর স্বাক্ষর দিতে হবে।

আমাদের উপরে আলোচনাতে আপনারা যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট নিচে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। আমাদের ওয়েবসাইটটি আপনাদের সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত। যে কোন বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটে সার্চ বাটনে সার্চ করুন। অথবা আমাদের কমেন্ট বক্সে এসে কমেন্ট করতে পারেন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button