প্রিয় বন্ধুরা আপনি কি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ভাড়ার তালিকা, সাপ্তাহিক ছুটির দিন সহ আরও বিভিন্ন তথ্য জানতে চান?? তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম!! আমরা আজকে কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি নিয়ে আরো কিছু তথ্য আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব।
যায় ট্রেনে ভ্রমণ করার সময় আপনার এই তথ্যগুলো জানার পর বাড়তি সুযোগ সুবিধা দিবে। কন আগে থেকে আপনি এই ট্রেনে সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে পারবেন। সুতরাং আমাদের পুষ্টি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখার অনুরোধ রইলো। ট্রেন ভ্রমণ সবচেয়ে আরামদায়ক এবং নিরাপদ ভ্রমণ। তাই যেকোনো যাত্রা স্থানে মানুষের সবার আগে পছন্দ ট্রেন ভ্রমণ।
কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম চলাচল করে থাকে। ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল 8 টা 15 মিনিটে চট্টগ্রাম স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এবং সন্ধ্যা ছয়টা 15 মিনিটে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে। আবার সেই ট্রেন চট্টগ্রাম থেকে সন্ধ্যা 7 টা 40 মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে এসে সকাল 10 টার সময় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে।
স্টেশনের নাম | ছুটির দিন | ছাড়ায় সময় | পৌছানোর সময় |
চট্টগ্রাম টু ঢাকা | নাই | ১০ঃ০০ | ১৯ঃ৪৫ |
ঢাকা টু চট্টগ্রাম | নাই | ০৮ঃ৩০ | ১৮ঃ০০ |
কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি স্থান ও সময়সূচী
কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনটি যেসব স্টেশনে বিরতি নিয়ে থাকে সে সব স্টেশনের সময়সূচি গুলো আমরা নিচে সংযুক্ত করছি।

কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি স্থান
কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা
কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনটি তিনটি আসন বিন্যাস এ ভাড়ার তালিকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আপনার ভাইয়ের সাথে 15% ভ্যাট কেটে নেওয়া হবে। বিশেষ ভাবে বলছি আপনারা কখনো ট্রেনে বিনা টিকিটে ভ্রমণ করবেন না।
আসন বিভাগ | টিকেটের মূল্য (১৫% ভ্যাট) |
শোভন | ২৮৫ টাকা |
শোভন চেয়ার | ৩৪৫ টাকা |
প্রথম সিট | ৪৬০ টাকা |
কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের অন্যান্য স্টেশনের ভাড়ার তালিকা
অনেকেই আছেন যারা কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের এক্সটোরশন থেকে অন্য স্টেশন চলাচল করে থাকেন। সেক্ষেত্রে আপনি যদি ভাড়া না জেনে থাকেন আমাদের তাহলে নিচের তালিকাটি দেখতে পারেন।

অন্যান্য স্টেশনের ভাড়ার তালিকা
কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাংলাদেশের একটি মেইল এক্সপ্রেস হিসেবে ধরা হয়। এটি মূলত ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম সরাসরি চলাচল করে থাকে। এর সর্বোচ্চ গতি 65 কিলোমিটার।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন
আপনাকে জানিয়ে রাখি এই ট্রেনটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন নেই বলে সপ্তাহে সাতদিন এই যাত্রীদের সেবা দিয়ে থাকে। স্যার আপনারা জানেন মেইল এক্সপ্রেস ট্রেন গুলো সাধারনত ছুটির দিন খুব কম থাকে।

কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
অন্যান্য সুবিধাদি
- আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে নামাজের জন্য ব্যবস্থা আছে
- প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে কর্তব্যরত গার্ডের কাছে
- প্রত্যেক বগিতে একজন করে গাইড থাকার ব্যবস্থা আছে। তবে তারা যাত্রীদের সেবা, প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও ট্রেনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সার্বিক দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
- যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে জানালার পাশে এ্যালুমিনিয়ামের শাটার। ট্রেনে ভ্রমণকালে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। যেমন – ট্রেনের দরজা-জানালায় না বসা, ট্রেনের ছাদে না ওঠা, ইঞ্জিনে না চড়া। ঘনবসতি বা বস্তি এলাকাতে ট্রেন চলার সময় জানালার শাটার লাগিয়ে দেয়া।
- এসি কেবিন ছাড়া শোভন বগিতে স্ট্যান্ডিং টিকেট কাটার সুবিধা রয়েছে। মোট বরাদ্দকৃত টিকেট বিক্রি হয়ে যাওয়ার পর স্ট্যান্ডিং টিকেট দেয়া হয়। স্ট্যান্ডিং টিকিটের মূল্য সিটিং টিকেটের সমান এবং সাথে সাধারণ টিকেটের মতই পণ্য নেয়া যায়।
মালামাল পরিবহন
- একজন শীতাতপ শ্রেণীর যাত্রী ৫৬ কেজি, প্রথম শ্রেণীর যাত্রী ৩৭.৫ কেজি, শোভন শ্রেণীর যাত্রী ২৮ কেজি এবং সুলভ ২য় শ্রেণীর যাত্রী ২৩ কেজি মালামাল বিনা ভাড়ায় সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন।
- অতিরিক্ত মালামাল মাশুল পরিশোধ করে তা লাগেজ হিসেবে তার নিজ গন্তব্যে নিতে পারেন। বড় স্টেশনগুলোতে লাগেজ বুকিংয়ের জন্য আলাদা কাউন্টার রয়েছে।
- লাগেজ বহনের জন্য ট্রলির ব্যবস্থা আছে।
- অসুস্থ ব্যাক্তিদের বহনের জন্য হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা আছে
আশা করি আমাদের উপরের আলোচনা থেকে আপনি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস টাইম টা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এছাড়া আপনাদের অন্যান্য তথ্য জানা থাকলে অবশ্যই সেটা কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন ধন্যবাদ।