আধুনিক বিদ্যুৎ চলা অসম্ভব। মানুষের দৈনন্দিন কাজে বিদ্যুতের গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষ যে কোন বাণিজ্যিক থেকে শুরু করে কল-কারখানা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান শিক্ষা ক্ষেত্রে মানুষ প্রত্যেক বিদ্যুৎ অতঃপর জড়িয়ে আসে। তাইতো মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশে বাংলাদেশ এখন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ চলে এসেছে। তাই আপনি যদি নতুন সংযোগ নিতে চান তাহলে আমাদের নিয়মাবলী অনুসরণ করে নতুন সংযোগ নিতে পারবেন।
আমাদের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এর বোর্ডের নতুন সংযোগ নেয়ার নিয়ম এবং প্রয়োজনীয় যেসব কাগজপত্র দরকার পরে সেসব সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত ধারণা দিব। এক্ষেত্রে আজকে আমাদের ওয়েবসাইটে আমরা বাসাবাড়ি ক্ষেত্রে যে নতুন সংযুক্তি নেয়া হয় সে সম্পর্কে আলোচনা করুন। আপনাদের জানিয়ে রাখি নতুন সংযোগ নেয়ার ক্ষেত্রে আপনাদের কাগজপত্র অবশ্যই সঠিক থাকতে হবে। এছাড়া নতুন সংযোগ নিতে পারবেন না। সুতরাং তাদের অবশ্যই বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নতুন সংযোগ নেয়ার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে তাদের অফিসে জমা দিতে হবে।
কিভাবে নতুন বিদ্যুতের সংযোগ নিবেন
- প্রথমেই আবেদনকারীকে বিদ্যুৎ নতুন সংযোগ স্থাপনের জন্য উপজেলা জেলা বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হবে
- তারপর ক্যাট কাটায় সমীক্ষা ফি জমা দিন
- সমীক্ষাটি জমা দেওয়ার পরে সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধান ওয়ারিং পরিদর্শককে প্রাথমিক শিক্ষার দায়িত্ব প্রদান করবেন.
- প্রধান পরিদর্শক সমীক্ষা শেষে বিদ্যুৎ বিদ্যুত্ সংযোগের যথার্থ পাওয়া গেলে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন গ্রহণ করে গ্রাহককে জানিয়ে দিবেন.
- পরবর্তীতে গ্রাহককে জানানো অনেক গ্রাহক ওয়ারিং সম্পাদন করবেন এবং ওয়ারিং যথার্থ আছে কিনা তা ওয়ারিং পরিদর্শক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করে রিপোর্ট প্রদান করবেন
- বিপরীতার্থক থাকলে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের জন্য গ্রাহককে ক্যাশ শাখায় নিরাপত্তা জামানত জমা করতে হবে
- অতঃপর গ্রাহকের প্রতিষ্ঠানেই মিটার প্রদান করে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হবে এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে লাইন নির্মাণের জন্য সমীক্ষা করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট আবেদনকারী প্রতিষ্ঠান লাইন নির্মাণের নির্মাণ খরচ বহন করবেন
ফি সংক্রান্ত তথ্যাবলিঃ
নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে প্রয়োজনীয় ফি লাগবেঃ ১০০-৩১২৫ টাকা
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
নতুন সংযোগের জন্য আবেদনপত্রের সাথে নিম্নোক্ত দলিলাদি দাখিল করতে হবেঃ
- সংযোগ গ্রহণকারীর পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি সত্যায়িত ছবি
- জমির মালিকানা দলিলের সত্যায়িত কপি
- লোড চাহিদার কাগজপত্র
- জমি/ভবনের ভাড়ার দলিল (যদি প্রযোজ্য হয়)
- ভাড়ার ক্ষেত্রে মালিকের সম্মতিপত্রের দলিল
- পূর্বের কোনো সংযোগ থাকলে ঐ সংযোগের বিবরণ ও সর্বশেষ পরিশোধিত বিলের কপি
- অস্থায়ী সংযোগের ক্ষেত্রে গ্রাহক শ্রেণির বিবরণ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
- ট্রেড লাইসেন্স (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
- সংযোগস্থলের নির্দেশক নকশা
- শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের নিমিত্তে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন।
- পাওয়ার ফ্যাক্টর ইমপ্রুভমেন্ট প্লান্ট স্থাপন (শিল্প ও বৃহৎ বাণিজ্যিকের ক্ষেত্রে)
- বহুতল আবাসিক/বাণিজ্যিক ভবন নির্মাতা ও মালিকের সাথে ফ্ল্যাট মালিকের চুক্তিনামার
পরিশেষে বলা যায় উপরের আলোচনা থেকে আপনি যেসব তথ্য জানতে পেরেছেন এই তথ্যগুলো মেনে নতুন সংযোগ নেয়ার ক্ষেত্রে আবেদন করলে অবশ্যই সংযোগ পেয়ে যাবেন। আমাদের ওয়েবসাইটে পরবর্তী আর্টিকেল থাকবে কল কারখানা ও বাণিজ্যিক কিভাবে লাইন আপনারা নিবেন সে সম্পর্কে। এতক্ষণ সাথে থাকে আপনাদের ধন্যবাদ।