পায়খানা বন্ধ হলে কি করতে হবে? কি খেলে পায়খানা হবে?

আসসালামু আলাইকুম আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন এবং কঠিন পায়খানার সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আজকের আমাদের এই পোস্টটি আপনার জন্য। আমরা অভিজ্ঞ ডাক্তার এবং অনেক পরীক্ষিত চিকিৎসার উপর গবেষণা করে যাদের কোষ্ঠকাঠিন এবং শক্ত পায়খানার সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য কিছু দিকনির্দেশনা নিয়ে আমাদের ওয়েব সাইটে হাজির হয়েছি।

আপনারা যদি আমাদের কথামতো চলেন তাহলে নিচের পদক্ষেপ গুলো মেনে চললে আপনাদের কোষ্ঠকাঠিন এবং শক্ত হয়ে পায়খানার নির্ণয় করা সম্ভব। এজন্য অবশ্যই আপনাকে প্রথমে তরল এবং আঁশ জাতীয় খাবার খেতে হবে। শক্ত পায়খানার ক্ষেত্রে চিন্তা এবং শারীরিক অনেক সমস্যার কারণে হতে পারে।

প্রকৃতপক্ষে আপনাকে আপনার জীবনের ক্ষেত্রে খাবারের ক্ষেত্রে অনেক দিকনির্দেশনা আছে যেগুলো আপনাকে প্রতিদিন মেনে চলতে হবে। সর্বদা আপনাকে ভাবতে হবে আপনার পায়খানা যেন সঠিকভাবে হয় এজন্য সকালে প্রতিদিন পায়খানা করার চেষ্টা করতে হবে। মনে রাখতে হবে শক্ত মশলা জাতীয় জিনিস খাবার খেলে দেহ এমনিতেই শক্ত হয়ে যায়।

সেক্ষেত্রে আপনার যদি পায়খানা বন্ধ হয়ে যায় তাহলে আপনি ইসবগুলের ভুষি, তরল জাতীয় খাবার, বেশি বেশি করে পানি খাবেন, এছাড়াও পায়খানা নরম হওয়ার জন্য রাতের দুধ খেয়ে ঘুমাবেন। নিচে আরো টিপস আপনাকে আমরা প্রদান করছি আপনারা চাইলে সেগুলো দেখে নিতে পারেন।

. প্রতিদিন প্রচুর পানি ও তরল এবং যথেষ্ট আঁশযুক্ত খাবার খান। গোটা শস্য, শাকসবজি, ফলমূল যেমন বেল, পেঁপে ইত্যাদি হলো আঁশযুক্ত খাবার।

. পাশাপাশি দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপমুক্ত জীবনযাপনের চেষ্টা করুন।

. যত দূর সম্ভব মল চেপে না রাখার অভ্যাস করা এবং নিয়মিত ব্যায়াম ও হাঁটাচলার অভ্যাস গড়ে তোলা।

. ইসবগুলের ভুসি, অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর মতো ঘরোয়া টোটকাও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমাধানে বেশ কাজে আসে।

>প্রতিদিন প্রচুর পানি ও তরল এবং যথেষ্ট আঁশযুক্ত খাবার খান। গোটা শস্য, শাকসবজি, ফলমূল যেমন বেল, পেঁপে ইত্যাদি হলো আঁশযুক্ত খাবার।

. কিছু কিছু ওষুধ কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য দায়ী (যেমন নিয়মিত আইবুপ্রোফেন জাতীয় ব্যথানাশক ওষুধ সেবন, আয়রন বা ক্যালসিয়াম বড়ি)। এসব বিষয় খেয়াল করতে হবে। কফি, পিৎজা, ফাস্ট ফুড বা পাস্তার মতো খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। চকলেট, ভাজাপোড়া, লাল মাংস (গরু, খাসি ইত্যাদি), চিপস, প্রচুর চিনিযুক্ত বেকারি খাদ্য যেমন কেক, পেস্ট্রি কেক এবং আয়রন ক্যাপসুল, কাঁচাকলা ইত্যাদি কম খাওয়াই ভালো।

এতেও উপকার না পেলে চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ওষুধ সেবন বা ব্যবহার করা যায়। তবে এগুলো বেশি পরিমাণে বা নিয়মিত সেবন করা অনুচিত। কারণ, এতে মলদ্বারের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে।

জটিলতা

দীর্ঘ মেয়াদে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে অর্শ বা পাইলস, ফিস্টুলা বা ভগন্দর, অ্যানাল ফিশার বা গেজ রোগ, প্রস্রাবের সমস্যা, রেক্টাল প্রোলাপস বা মলদ্বার বাইরে বের হয়ে আসা, ইন্টেসটাইনাল অবস্ট্রাকশন, পেটব্যথা বা ফাঁপা, অরুচি, ক্ষুধামান্দ্যের মতো জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। সমস্যার উন্নতি না হলে আক্রান্ত ব্যক্তির থাইরয়েডের সমস্যা, কলোরেক্টাল তথা মলাশয়ের ক্যানসার, ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি, পার্কিনসনস ডিজিজ, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (আইবিএস), অ্যানাল ফিশার, পেরিঅ্যানাল অ্যাবসেস প্রভৃতি কোনো রোগ আছে কি না, তা পরীক্ষা করা দরকার। আফিম, মরফিন, মানসিক রোগের ওষুধ, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও অ্যালুমিনিয়াম এবং ক্যালসিয়ামযুক্ত অ্যান্টাসিড ইত্যাদি কোনো ওষুধ সেবন করছেন কি না, লক্ষ করুন। হঠাৎ কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

পরিশেষে বলা যায় আমাদের উপরের ওয়েবসাইট থেকে নিম্নলিখিত নির্দেশনা গুলো মেনে চললে আপনার যদি পায়খানা বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সেটি আবার পুনরায় ঘরোয়া ভাবে পায়খানা সঠিকভাবে করতে পারবেন। যেকোনো সমস্যা হলে আমাদের ওয়েবসাইটে কয়েন বক্সে কমেন্ট করতে পারেন ধন্যবাদ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button