ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রেল পথে একটি জনপ্রিয় ট্রেন চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী,ভাড়ার তালিকা, টিকিটের মূল্য, সাপ্তাহিক ছুটির ,দিন এবং বিরতি স্থান নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাংলাদেশের রেলওয়ে একটি আন্তঃনগর ট্রেন। এই ট্রেনটি রাজধানী ঢাকা থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম রেলপথে জনসাধারণ মানুষকে সেবা দিয়ে আসছে।
এই ট্রেনটি 2010 সালে প্রথম উদ্বোধন করা হয়। আপনাদের সুবিধার্থে চট্রলা এক্সপ্রেস ট্রেনের নাম্বার যথাক্রমে (801-802) এই দুটি নাম্বারে ধারাবাহিকভাবে চলাচল করে থাকে। আসুন দেখে নিই ট্রেনটির আরো যাত্রীদের জন্য কি কি সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে সে সম্পর্কে জেনে নেই।
চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেন
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম 386 কিলোমিটার বা 215 মাইল যাত্রাপথে সময় লাগে মোট 7 ঘন্টা 30 মিনিট। ট্রেনটিতে যাত্রীদের জন্য এসি নন এসি শোভন চেয়ারের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও যাত্রীদের খাবারের জন্য একটি খাবার বগি সংযুক্ত রয়েছে। শুধু তাই নয় ট্রেনটি ঘণ্টায় 65 কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। এই ট্রেনটি কমলাপুর থেকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে চলাচল করে থাকে। সাপ্তাহিক মঙ্গলবার ট্রেনটি ছুটির দিন তাই এই দিনে চলাচল করে থাকে না। যাত্রীদের জন্য আরও ঘুমানোর ব্যবস্থা রয়েছে। এগুলোকে কেবিন বলা হয়।
চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি নির্ধারিত সময় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এই ট্রেনটি সকাল 8:30 মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। দুপুর 3 টা 50 মিনিটে ট্রেনটি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে এসে পৌঁছায়।
স্টেশনের নাম | ছুটির দিন | ছাড়ায় সময় | পৌছানোর সময় |
চট্টগ্রাম টু ঢাকা | মঙ্গলবার | ০৮ঃ৩০ | ১৫ঃ৫০ |
ঢাকা টু চট্টগ্রাম | মঙ্গলবার | ১৩ঃ০০ | ২০ঃ৩০ |
চট্রলা এক্সপ্রেস ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটির দিন
চট্রলা এক্সপ্রেস ট্রেনের সাপ্তাহিক এক দিন বন্ধ থাকে। অর্থাৎ মঙ্গলবার এই ট্রেনটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন। মঙ্গলবারে ট্রেনটি চলাচল করে থাকে না।
চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া তালিকা
15% ভ্যাট অনুযায়ী চট্রলা এক্সপ্রেস এর ট্রেনের ভাড়ার তালিকা নির্ধারিত করা হয়েছে। এই ট্রেনটি যাত্রীদের জন্য মোট তিনটি শ্রেণী আসনবিন্যাস করে ভাড়া নির্ধারিত করা হয়েছে। আপনি যদি নতুন যাত্রী হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের নিচের ছকে প্রত্যেকটি সিটের ভাড়া দেখে নিতে পারেন।
আসন বিভাগ | টিকেটের মূল্য (১৫% ভ্যাট) |
শোভন | ২৮৫ টাকা |
শোভন চেয়ার | ৩৪৫ টাকা |
প্রথম সিট | ৪৬০ টাকা |
চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি স্টেশন ও সময়সূচী
নিচের যেসব টি দেখতে পাচ্ছেন এই স্টেশনগুলোতে চট্রলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিরতি নিয়ে থাকে।আপনাদের সুবিধার্থে আমরা চট্রলা এক্সপ্রেস ট্রেনের যেসকল স্টেশনে বিরুদ্ধে নিয়ে থাকে সকল স্টেশনের সময়সূচি ছকের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে সংযুক্ত করছি।
বিরতি স্টেশন নাম | চট্টগ্রাম থেকে (৬৭) | ঢাকা থেকে (৬৮) |
কুমিরা | ০৮ঃ৫৮ | ১৯ঃ৫৯ |
ফেনী | ১০ঃ১০ | ১৮ঃ৫০ |
হাসানপুর | ১০ঃ৩৮ | ১৮ঃ২৫ |
নাঙ্গলকোট | ১০ঃ৪৮ | ১৮ঃ১৬ |
লাকসাম | ১১ঃ০৭ | ১৭ঃ৫৫ |
কুমিল্লা | ১১ঃ৫২ | ১৭ঃ০৫ |
শশীদল | ১২ঃ২০ | ১৬ঃ৪১ |
কসবা | ১২ঃ৩৮ | ১৬ঃ২৫ |
আখাউড়া | ১৩ঃ০২ | ১৫;৫০ |
বি- বাড়িয়া | ১৩ঃ২৫ | ১৫ঃ২০ |
ভৈরব | ১৩ঃ৪৮ | ১৪ঃ৫৮ |
মেথিকান্দা | ১৪ঃ০৭ | ১৪ঃ৪০ |
নরসিংদী | ১৪ঃ২৬ | ১৪ঃ১৫ |
বিমান বন্দর | ১৫ঃ১০ | ১৩ঃ২৭ |
চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের অনলাইন টিকিট কাটার পদ্ধতি
চট্রলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি যেসব স্টেশনে বিরতি নিয়ে থাকে সেইসব স্টেশন থেকে আপনি অবশ্যই এই ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। ঢাকায় বিমানবন্দর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়া আপনি যদি অনলাইনে টিকিট কাটতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে বাংলাদেশ রেলওয় অফিশিয়াল ডালে গিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে।
- দেশের সকল টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কাটা যাবে
- টেনের ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কাটা যাবে (www.esheba.cnsbd.com)
- *১৩১# নম্বরে ডায়াল করে এসএমএস এর মাধ্যমে টিকিট বুক করা যাবে.
- টিকিটের জন্য কনফার্মেশন মেসেজ পাঠানো হবে, তা যাত্রা ন্যূনতম আধাঘন্টা আগে, সংশ্লিষ্ট রেলস্টেশনের কাউন্টার থেকে টিকিট প্রিন্ট করতে হবে
- তবে যাত্রা দশদিন পূর্ব থেকে অগ্রিম টিকিট পাওয়া যাচ্ছে দেশের যেকোন কম্পিউটারাইজড টিকিট কাউন্টারে এবং ওয়েবসাইটে.
চট্রলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আসলেই যাত্রীদের জন্য একটি আনন্দ এবং বিলাসবহুল যাত্রার দিতে সক্ষম। তাই আশা করি আমাদের উপরের আলোচনা থেকে আপনি চট্রলা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাবতীয় তথ্য জেনে গেছেন। বাংলাদেশ অন্যান্য ট্রেনের সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের ওয়েব সাইটটি ভিজিট করতে পারেন ধন্যবাদ।