আসসালামু আলাইকুম পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে আপনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আপনারা যারা নেত্রকোনা ইফতার এবং সেহরির টাইম ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করছেন তাদের জন্য আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে সহজভাবে ক্যালেন্ডার সংযুক্ত করে সেহরি ও ইফতারের টাইম তুলে ধরেছি। পবিত্র রমজানের মাস প্রত্যেক মুসলমানের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এসময় সকল মুসলিম মহান আল্লাহতালার সন্তুষ্টি অর্জনে একমাস রোজা করে থাকে।
নেত্রকোনা সেহরির সময়সূচি ২০২৪
আপনারা ইতিমধ্যে জানেন আগামী এপ্রিল মাস থেকে শুরু হচ্ছে মুসলিম জাতির সবচেয়ে বড় ফজিলত মাস রমজান মাস। সারা বিশ্বে যেসব দেশে মুসলিমরা বসবাস করে থাকেন এই মাছটিকে অনেক গুরুত্ব সহকারে পালন করা হয়। এছাড়াও হাদিস আল কুরআনে বলা আছে এ মাসের প্রত্যেক মুসলমানের কাছে উত্তম মাস। এ মাসে অনেক পাপিষ্ট ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দেন আল্লাহ তাআলা।
নেত্রকোনা ইফতারের সময়সূচি ২০২৪
আপনি যদি নেত্রকোনা ইফতারির সময়সূচী সম্পর্কে অনুসন্ধান করে থাকেন তাহলে আপনি বর্তমানে সঠিক অবস্থানে করছেন। আমাদের ওয়েবসাইটে আমরা একই সাথে ইফতারি ও সেহরীর টাইম গুলো সংযুক্ত করেছি। এছাড়া আপনাদের আরো সুবিধার্থে আমরা ফজরের ওয়াক্ত শুরু সময়টিও আমরা সংযুক্ত করেছি। তাই আশা করি আপনাদের এ সম্পর্কে কোন সমস্যা করতে হবে না।
রোজা ভঙ্গের কারণ সমুহ:
- ইচ্ছাকৃত পানাহার করলে।
- স্ত্রী সহবাস করলে ।
- কুলি করার সময় হলকের নিচে পানি চলে গেলে (অবশ্য রোজার কথা স্মরণ না থাকলে রোজা ভাঙ্গবে না)।
- ইচ্ছকৃত মুখভরে বমি করলে।
- নস্য গ্রহণ করা, নাকে বা কানে ওষধ বা তৈল প্রবেশ করালে।
- জবরদস্তি করে কেহ রোজা ভাঙ্গালে ।
- ইনজেকশান বা স্যালাইরনর মাধ্যমে দেমাগে ওষধ পৌছালে।
- কংকর পাথর বা ফলের বিচি গিলে ফেললে।
- সূর্যাস্ত হয়েছে মনে করে ইফতার করার পর দেখা গেল সুর্যাস্ত হয়নি।
- পুরা রমজান মাস রোজার নিয়ত না করলে।
- দাঁত হতে ছোলা পরিমান খাদ্য-দ্রব্য গিলে ফেললে।
- ধূমপান করা, ইচ্ছাকৃত লোবান বা আগরবাতি জ্বালায়ে ধোয়া গ্রহন করলে।
- মুখ ভর্তি বমি গিলে ফেললে ।
- রাত্রি আছে মনে করে সোবহে সাদিকের পর পানাহার করলে।
- মুখে পান রেখে ঘুমিয়ে পড়ে সুবহে সাদিকের পর নিদ্রা হতে জাগরিত হওয়া এ অবস্থায় শুধু কাজা ওয়াজিব হবে।
রোজা শর্ত
- নিয়ত করা
- সব ধরনের পানাহার থেকে বিরত থাকা
- যৌন আচরণ থেকে বিরত থাকা।
রোজা রাখার ৪ শর্ত :
- মুসলিম হওয়া
- বালেগ হওয়া
- অক্ষম না হওয়া
- ঋতুস্রাব থেকে বিরত থাকা নারী।
রোজা প্রকারভেদ
- রোজা পাঁচ প্রকার।
ফরজ রোজা: যা আবার চার প্রকার-
- রমজান মাসের রোজা।
- কোন কারণ বশত রমজানের রোজা ভঙ্গ হয়ে গেলে তার কাযা আদায়ে রোজা।
- শরীয়তে স্বীকৃত কারণ ব্যতীত রমজানের রোজা ছেড়ে দিলে কাফ্ফারা হিসেবে ৬০টি রোজা রাখা।
- রোজার মান্নত করলে তা আদায় করা।
ওয়াজিব রোজা:
- নফল রোজা রেখে ভঙ্গ করলে পরবর্তীতে তা আদায় করা ওয়াজিব।
সুন্নত রোজা:
- মহরম মাসের নয় এবং দশ তারিখে রোজা রাখা।
মোস্তাহাব রোজা:
- প্রতি চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪, এবং ১৫ তারিখে, প্রতি সাপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবারে, কোন কোন ইমামের মতে শাওয়াল মাসে পৃথক পৃথক প্রতি সপ্তাহে দুটো করে ছয়টি রোজা রাখা মোস্তাহাব। তবে ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর মতে এক সাথে হোক কিংবা পৃথক পৃথক হোক শাওয়ালের ছয়টি রোজা মুস্তাহাব।
নফল রোজা:
- মোস্তাহাব আর নফল খুব কাছাকাছির ইবাদত। সহজ অর্থে নফল হলো যা ফরজ, ওয়াজি
রোজা উপকারিতা
“রোজাদারের জন্য দুটি খুশি। একটি হলো তার ইফতারের সময়, আর অপরটি হলো আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়।”— (বুখারী ও মুসলিম)
আশা করি আজকের পোস্টে আমরা আপনাদের মাহে রমজান যারা নেত্রকোনা বসবাস করে থাকেন। তাদের সেহরি ও ইফতারের টাইম গুলো সংযুক্ত করেছি। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।